fiovana

Craft your story

জনৈক বলেছেন – পাবলিক স্পিকিং শুনতে ভালো শোনায়; কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে ইউটিলিটি কম, Highly overrated!

আপনি কি সহমত পোষণ করেন?

যদি না করেন, الحمد لله, I’ve full respect for your different opinion. But I don’t buy the point myself.

ছোটবেলায় মা আমাকে দাবা খেলার জন্য অনেক উদ্বুদ্ধ করতেন৷ কেন করতেন?

কোথাও শুনেছেন, যারা দাবা ভালো খেলে তারা অনেক ব্রিলিয়্যান্ট; তারা বিজ্ঞান বা গণিতে খুবই ভালো হয়৷

বোধ করি, আপনারাও শুনেছেন৷ কিন্তু কতটা সত্য? গবেষণা কী বলে?

গবেষণা বলছে, দাবা খেলার জ্ঞান বা ভেল্কি দাবা খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷ দাবার বাইরে কোনো প্রভাবই নাই৷ বিজ্ঞান, গণিত তো দূরের কথা৷

This is called Domain Specificity.

ডেভিড ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনিং ব্যাটসম্যান, ২০১৮ সালে সাউথ আফ্রিকার সাথে টেস্টে বল টেম্পারিং অপরাধে এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন৷ ২০১৯ সালে আইপিএলে ফেরেন, ফিরেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন৷ তাকে জিজ্ঞেস করা হয় – How was it possible to be away from cricket for one solid year, come back, and make such an avalanche of runs?

ওয়ার্নারের উত্তর – I just wanted to stay at wicket as long as possible, helping me not only score, but become a better husband.

হোয়াট! দাবার কোর্টের বাইরে দাবার কোনো প্রভাব নাই, তাইলে ক্রিকেটের প্রভাব আসে কোত্থেকে?

দাবা খেলার ব্যপ্তি কতটুকু?

যৎসামান্য! ছোট্টো একটা চৌহদ্দির মধ্যে দুইজন খেলোয়ার যুূদ্ধ করছে৷ স্বপক্ষ বা প্রতিপক্ষ কোনো ক্ষেত্রেই বেশি মানুষকে সামলাতে হচ্ছে না৷

ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্র দাবার থেকে অনেক বড়৷ দুই পক্ষ মিলে ন্যূনতম ২২ জন খেলোয়ার৷ মাঠের আকার তো দাবার কোর্টের সাথে তুলনাই করা যায় না৷ খেলার জটিলতাও অনেক বেশি৷ অনিশ্চয়তা প্রতি পরতে পরতে৷ সবচেয়ে বড় তফাৎটা তৈরি হয়, কতজন মানুষকে সামলাচ্ছেন৷ মানুষ সামলানো থেকেই ধনাত্মক প্রভাব তৈরি হয় যা ওয়ার্নার সংসারেও কাজে লাগাচ্ছেন৷

তারপরও দিনশেষে ক্রিকেট খেলাও ছোট্টো পরিসরেই ঘটিত হয়৷ নির্ধারিত নিয়ম-কানুন দিয়েই পরিচালিত হয়৷ অনেক কিছুই আছে যা মাঠের মধ্যেই থেকে যায়৷ পরিষ্কার নিয়ম-কানুনে বাঁধা পরিসর থেকে লব্ধ বিদ্যা বা জ্ঞান জীবনে প্রতিলিপি করতে পারবেন না৷

আমেরিকান সাইকোলজিস্ট রবিন হোগার্থ তার Educating Intuition বইয়ে এ ধরনের জ্ঞানকে বলছেন Kind Learning.

বিপরীতে আরেক ধরনের বিদ্যাকে তিনি দাঁড় করাচ্ছেন — Wicked Learning. What is it?

যার কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নাই৷ সীমা-পরিসীমা নাই৷ নিশ্চয়তার বালাই নাই৷ অগোছালো, অস্পষ্ট, অনিয়মিত, ঘোলা৷ প্রতিটা পদ অনিশ্চয়তায় ঠাঁসা৷ যে কোনো বিষয়কে আপনি যে কোনো দিক থেকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন৷

উইকেড লার্নিংকে বর্ণনা করার জুতসুই অভিব্যক্তি VUCA – Volatile, Uncertain, Complex, and Ambiguous.

উইকেড লার্নিঙয়ের বিশেষত্ব কী?

লব্ধ বিদ্যা বা জ্ঞান একটা জায়াগায় আটকা থাকে না, বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যায়৷

Public Speaking or Presentation represents the genre of WICKED LEARNING.

নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলি৷

হীনমন্যতা বা আত্মবিশ্বাসের চরম অভাববোধ থেকে পাবলিক স্পিকিং শেখা শুরু করি৷ প্রায় ২০ বছর ধরে ছাত্র থাকার পর জোর গলায় বলতে পারি, শুধুমাত্র পাবলিক স্পিকিংই শিখিনি, পাশাপাশি আরও অনেক কিছু শিখেছি الحمد لله.

একটা সময় বইয়ের ধারেকাছেও যেতাম না; কিন্তু কোনো একটা বিষয়কে বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে দেখতে বাধ্য করে পাবলিক স্পিকিং আমাকে পড়ুয়া বানিয়েছে৷

দুই বছরের মতো একটা পাবলিকেশন হাউসে কাজ করি৷ আশেপাশে প্রতিদিন অনেক লেখকের সাথে উঠাবসা৷ ঈর্ষান্বিত হতাম তাদের দেখে, আর আক্ষেপ করতাম Why am I a writing desert?

নিয়মিত ভিত্তিতে প্রেজেন্টেশনের স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে করতে উপলব্ধি করলাম — হাল্কা ধাক্কা দিলেই তো স্ক্রিপ্টকে লেখালেখিতে রূপান্তর করা যায়! الحمد لله শুরু হলো, এখন লেখালেখি করতেই ভালো লাগে৷

অফিস, ফ্যামিলি, লিংকডইনসহ প্রতিদিনকার যত ধরনের যোগাযোগ আমাকে করতে হয়, সব জায়গায়ই পাবলিক স্পিকিং শেখার ছাপ পড়ে যায়৷ Metaphor, Analogical Thinking, Rhetorical Devices, Storytelling, Persuasive Writing — every element helps me effectively communicate الحمد لله.

Critical Thinking, Mathematical Thinking, Philosophical Thinking, Scientific Thinking, Statistical Thinking, Systems Thinking সবকিছুই তৈরি হয়েছে الحمد لله ثم الحمد لله পাবলিক স্পিকিংকে কেন্দ্র করেই৷

I can go on and on and on!

আরও মজার ব্যাপার, লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এমনও কিছু জায়গা নাড়া দিয়েছে, যার নামও আমি জানি না৷ Wicked Learning is complex, so it does have umpteen variables.

শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রেই না, যে-ই পাবলিক স্পিকিং মন দিয়ে শিখেছে, প্রত্যেকেই একবাক্যে স্বীকার করে নেয় how life is positively changed!

অনেকেই মনে করে — এআইয়ের যুগে পাবলিক স্পিকিং তার আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে৷

Sorry, again I don’t buy this. ওস্তাদের মাইর শেষরাতে৷ কতকিছুই তো এলো আর গেলো, কিন্তু ওস্তাদ ঠিকই রয়ে গেছে৷ প্রাচীন গ্রীক সভ্যতা থেকে শুরু করে আজ প্রায় চার হাজার বছর পরও Public speaking is as relevant as ever. সময়ের পদচারণায় অনেক ভেল্কিই দেখছেন বা দেখবেন, আবার সময়ের পরীক্ষাতেই তারা চরম অকৃতকার্য৷

আমেরিকান ইকোনোমিস্ট গেইল পুলির ভাষ্য — The biggest test is that of time. পাবলিক স্পিকিং সময়ের কঠিনতম পরীক্ষায় ডিস্টিংশন নিয়ে পাশ৷ সুতরাং ওস্তাদ যাচ্ছেন না৷ তিনি ফিরে ফিরে আসবেন৷

Hope I get my point across.

নিজেদের আমরা যতই নিরপেক্ষ মনে করি না কেন, ততটা নিরপেক্ষ আমরা নই৷ যে কোনো বিষয়েই মত ঝাড়ি না কেন, নিজেদের পক্ষপাত বা মূল্যায়ন যুক্ত হবেই৷ আমার ব্যাখ্যাও তাই পরম কিছু না৷ তবে দ্ব্যর্থহীনভাবে এটুকু বলতে পারি, ঐ ব্যক্তি পাবলিক স্পিকিংয়ে মন-প্রাণ ঢেলে দেননি, তাই তিনি মনে করছেন It’s highly overrated.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top